
June, 2021

Sujan Shongbad
Sujan's membership drive:
Join us today and be a part of the Sujan Family...
Dear members and friends of Sujan,
Sujan has always been about the community spirit and providing a platform to connect with like-minded with people from our communities, even when we all are far from home. This spirit has always bound us together and supported Sujan's wonderful journey so far.
In the recent years, with more and more people from our community joining us in Ireland, Sujan's family has been growing. To take advantage of this growth, and to consolidate our community, we have rolled out Sujan's Membership Model this year. With this, we aim to provide our current patrons and supporters with a more structured and efficient organization, while at the same time trying to attract new members to our ever growing Sujan family.
We are immensely thankful to some of our current patrons who provided us with feedback during the planning process and to those who have already signed up for the membership.
For many others, we sincerely hope to see you sign up soon and join our family!
Membership Model
Sign up
Events Corner: Our events so far
2021 is already halfway gone, and Sujan has been organizing some awesome and engaging events to keep us connected during the long periods of lock down. Here are a glimpse of the different events we have had so far...
Behind the Scenes: Work in progress....
We have been keeping busy! Here are a few things in the works:
Digital Footprint
-
Enhance website: addition of new features and content
-
Posting Regular updates in Social media channels
-
Sujan Connect: New periodic Podcast series
Enhance Activity
-
Organized online Basanta Utsab Celebrations
-
Cactus Reunion Concert in collaboration with Adda Slough
-
Planning for upcoming summer picnic
Necessary Housekeeping
-
Roll-out of Sujan Membership model
-
Drafting the first version of the constitution
-
Groundwork for registration as Cultural Organization
Watch this space for more updates in future!!

Covid Fundraising Drive

We have been all too aware of the devastation the last COVID-19 wave had in India. While COVID-19 had become a reality for all of us around the world in the last two years, the sheer scale of the devastation in India motivated us to reach out with as much help and support as we could muster via our charity partner: The Hope Foundation, Ireland
Sujan organized a fund-raising drive towards supporting Hope Foundations' efforts to convert the HOPE Hospital in Kolkata into a Covid ward and help with machinery supplies and running costs.
Thanks to all our members, patrons and supporters we were able to raise funds of €1492 towards the cause.
Member's Corner
We are delighted to announce the inclusion of a Members' Section in our newsletter. Please send in your contributions for the upcoming editions. The details of the submission process can be found in our Sujan Newsletters page
কথা ও ছবি! পাঁচটি ভিন্ন স্বাদের বাংলা কবিতা
সোনালী রায়
মননৌকা হৃদমাঝারে
কাগজ ভরা জল-কবিতা
পড়লো ঝরে বৃষ্টি হয়ে।
উঠোন ভরা এক হাঁটুজল,
কাগজনৌকো দিই ভাসিয়ে।
ভাসতে ভাসতে নৌকো আমার
পৌঁছয় এক অন্য পাড়ে।
উঠোন এখন সাগর যেন,
মন-নৌকো হৃদমাঝারে।
আজব কত নগর দেশের
পাড় ছুঁয়ে ছুঁয়ে নৌকো ভাসে।
কত রকম মানুষ সেথায়,
তাদের গল্প হাওয়ায় ভাসে।
নৌকো এবার দুলে দুলে
পাড়ি জমায় উজান স্রোতে।
নদী সাগর পেড়িয়ে ভেড়ে,
মন-নদীর নৌকাঘাটে।
অধরা আবছায়া
কু-ঝিক ঝিক একটানা শব্দের মাঝে
চেতন অবচেতনের আসাযাওয়া
কিছু প্রবল গর্জনে একরাশ স্মৃতি আছড়ে ফেলে
তোলপাড় করে স্বপ্নঘুম
ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে যায় কত ধরতে চাওয়া ছবি।
ঘুম ভাঙলে সব কোথায়, হিসাবহীন।
মনে পড়া না পড়ার মাঝে পরের স্টেশন,
স্মৃতির ওঠানামা, হাঁকাহাঁকি।
ওই যে, ওই তো, কি যেন নাম! ....
আবছা কিছু অবয়ব, মুখহীন নামহীন
সব থাকে এখানেই কোথাও
ঘুমের রেলগাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ায় তারা।
ঠিকানা
(১)
সবকিছুরই ঠিকানা কেন থাকে?
এমনও তো হতে পারে, একটা কোনখানের কিছু নেই
যুক্তি অযুক্তির দ্বন্দ্ব নেই, বুঝতে পারা না-পারার তাড়া নেই
শুধু একটা অপেক্ষা সেখানে অ-রূপ সেজে থাকে
রূপ ধরার আকাঙ্ক্ষায়
মন্দ সেখানে আলোর হদিশ পায়না
ভালো সেখানে সূর্যমুখী হয়ে ফোটে
(২)
ছোট্ট এক ছেলে খেলা করে ক্লাসঘরে
কি খেলা সে জানে না
খেলার টানটুকুই সে বোঝে
সে তাকায় এদিক ওদিক
সকলের খেলার সাথী আছে
খেলা তবে একা হয়না?....
পাশের ছেলের হাত ধরে বলে, “চল খেলি একসাথে”
পাশের ছেলে তার চোখের কথা বোঝেনা
সে শুধু শিখেছে খেলার হরেক নিয়ম
ছোট্ট ছেলেটি নিয়ম কি জানেনা
মিলেমিশে থাকতে তবে নিয়ম লাগে?
সে নিয়মের ঠিকানা খোঁজে।
ছোট গল্প - মালতি
কনিকা সরকার
কলিং বেলটা বাজতেই বরুণ বাবু এসে দরজা খুললেন। "কিরে মালতি, এত দেরি করলে যে! তোর দিদিমনি কিন্তু খুব রেগে আছে। আজ আবার বেলা দশটা বাজিয়ে ফেললি কেন, হ্যাঁ?"
মালতি মৃদু স্বরে কি বলতে বলতে ঘরে ঢুকলো। তখনই ভেতরের ঘর থেকে অপর্ণা বলে উঠলো "কিগো শুনছো, মালতীর এই মাসের টাকা মিটিয়ে দাও তো, আর ওকে বলে দাও - কাল থেকে ওকে আর আসতে হবে না।"
মালতি দৌড়ে ভেতরের ঘরে গেল অপর্ণা বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে।
এই দেখো দিদিমণি কান ধরছি আর কোনদিন দেরি হবে না সত্যি বলছি তুমি মিলিয়ে নিও।
বলতে বলতে মালতি অপর্ণা কে ধরে বাথরূমে নিয়ে গেল। অপর্ণা জিজ্ঞেস করল "কি রে মিনু কোথায় !"
দিদিমণি মিনুকে আমার বোনের বাড়িতে রেখে এসেছি সকালে, ওখানে বোনের ছেলে মেয়েদের সাথে কয়েক দিন থেকে আসুক।
অপর্ণা শুনে খুব উদাস হল, প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও মিনুর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। একসাথে খাওয়া দাওয়া করে, সেদিন মিনুর পছন্দের সব রান্না হয়।
খাবার টেবিলে বসেই অপর্ণা মালতিকে বলল - আজকে নিয়ে আসবি কিন্তু মেনু কে, স্কুল বন্ধ করা যাবে না। মালতি মনে মনে ভাবল, ওইটুকু মেয়ে মিনু একদিন স্কুল বন্ধ করলে কি এমন হবে! কিন্তু মুখে কিছু বলল না। দু'বার মিসক্যারেজের পর একটুতেই রেগে যায় অপর্ণা কিছুদিন আগেই অপারেশন হয়েছে, তাই ওকে বেশি রাগানো ঠিক হবে না ভেবে মালতি শুধু বলল - আচ্ছা বাবা আচ্ছা! আজ ই নিয়ে আসবো, তুমি চিন্তা করোনা। সকালে ব্রেকফাস্টটাও ভালো করে খেলো না অপর্ণা।
ওদিকে মালতি কাজকর্ম সেরে সোজা বোনের বাড়ি চলে গেল। বোনের বাড়ি থেকে বোন না খাইয়ে ছাড়লো না। গল্প করে খাওয়া-দাওয়ার সারতে সারতে একটু দেরী হয়ে গেল। দেরি দেখে মালতির বোন মালতিকে রাতটা থেকে সক্কাল সক্কাল যেতে বলল। মালতি বলল "নারে বাবা, যেতেই হবে, দিদিমণি সারাদিন কিছু খায় নি, খুব রেগে আছে, এখনই বেরিয়ে পড়ি আটটা চল্লিশের লোকাল টা পেয়ে যাব ঠিক। স্টেশন পৌঁছে দেখলো, ট্রেনটা কুড়ি মিনিট লেট। ট্রেনে উঠে ব্যারাকপুর থেকে মাঝেরহাট পৌঁছতে প্রায় রাত 10:30 টা। স্টেশন চত্বর প্রায় জনমানবহীন বললেই চলে। দূরে হকার মোহন শুধু ওর ফাঁকা চায়ের কেটলি পাশে রেখে দুই হাতে খৈনি ঘষতে ঘষতে গুনগুন করছে। স্টেশনের বাইরে দু'চারটে রাস্তার কুকুর ডাস্টবিনের পাশে দাঁড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করছে।
মালতি মিনুর হাতটা ধরে একরকম টানতে টানতে বাড়ির দিকে রওনা হলো। বাইরেটা আজ একটু যেন বেশি অন্ধকার, তার ওপর অল্প অল্প শীত ঢুকেছে দেশে। পিচ রাস্তা টা পেরিয়ে গলির মুখে এসে মালতী থমকে গেল মনে হলো কতগুলো পায়ের শব্দ ওর পিছু নিয়েছে।অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যায় না মালতি মিনুর হাতটা শক্ত করে ধরে জোরে হাঁটতে শুরু করল। খানিকটা এগিয়ে কালী মন্দির, মালতি কিছু না বুঝতে পেরে মোড়ের কালী মন্দিরে গিয়ে ঢুকলো । মন্দির এত রাতে পুরো ফাঁকা, তবে আধপোড়া নারকেলের ছোবা ও ধুনোর গন্ধ অনুভব করা যায়। মালতি মিনুকে 'মা'য়ের কাঠামোর পিছনে চুপ করে বসতে বলে, মন্দিরের পাশে পড়ে থাকা একটা বাঁশ হাতে তুলে নিল, মিনু কে বুঝিয়ে বলল - যাই হয়ে যাক, তুই বাইরে বেরোবি না, আমি এসে না ডাকলে, কেমন? লক্ষ্মী মা আমার, বলেই মিনুর কপালে আলতো করে একটা হামি খেলো।
মালতির পিছুপিছু চারটে মাঝ বয়সী যুবক মদ্যপ অবস্থায় হাঁপাতে হাঁপাতে কোনরকমে দৌড়ে ঢুকলো মন্দিরে। মালতি কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন হামলে পড়ল মালতির ওপর। বাকিদের সেকি উল্লাস কি বিকট হাসি। মালতি হাতের বাঁশটা দিয়ে জোরে আঘাত করল ছেলেটার পেটে, পিঠে কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে না। ততক্ষণে বাকিরাও হামলে পড়েছে, নৃশংস হায়নার মতো তাদের চাহূনি। মালতি কোনরকমে নিজের শরীরের সমস্ত জোর দিয়ে তাদের একজনের মাথায় আঘাত করল জোরে, ছেলেটা তৎক্ষণাৎ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। তখনই আরেকটা ছেলে জোর করে মালতির হাত থেকে বাঁশ ছিনিয়ে নিতে গিয়ে আঘাত করে বসল মালতির মাথায়। মাথার পিছন থেকে স্রোতের মতো রক্তগঙ্গা বইছে। ছেলেগুলো তখন দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে ভয়ে দৌড়ে পালালো, দৌড় দৌড় দৌড়.....
সন্ধ্যে সাতটার সময় মালতির জ্ঞান ফিরল হাসপাতালের ঘরে। আধো বন্ধ আধ খোলা চোখে আবছা দেখতে পেল দাদাবাবু আর দিদিমণিকে। অপর্ণা মালতির হাতে হাল্কা করে চাপ দিয়ে আশ্বস্ত করলো। মালতি কোনরকম বলল - মি.... মিনু...। মিনু ভালো আছে, ভয় পেয়েছে একটু, তুই চিন্তা করিস না, শান্ত হ। মালতি অনেক কষ্টে ধরা গলায় কোনরকমে বলল - "দিদিমণি... আমার মিনুকে তোমরা দেখো.... মিনু তোমার....." হসপিটালের সেই ঘরে সেদিন আর কোন কথা হল না, শুধুমাত্র অপর্ণার চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা জল মালতির কপাল স্পর্শ করে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকলো.....।